নিউজ ডেস্ক : ধর্মীয় বিভেদে দেশ অশান্ত। সম্প্রতি লখনউয়ের লুলু মলে কিছু ব্যক্তি নমাজ পড়ায়, নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। পাবলিক প্লেসে, রেল স্টেশনে এক ব্যক্তির নমাজ পড়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ইন্টারনেটে। ভিডিও ভাইরাল হতেই অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা সরকারি রেলওয়ে পুলিশের কাছে একটি স্মারকলিপি পেশ করেছে। ওই ব্যক্তি উত্তর প্রদেশের চারবাগ রেলস্টেশনে নমাজ পড়ছিলেন।
পুলিশ বলছেন, যে সমস্ত অভিযোগ করা হয়েছে তার তদন্ত করা হবে এবং সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার জাতীয় মুখপাত্র শিশির চতুর্বেদী বলেছেন, উত্তরপ্রদেশ সরকার পাবলিক প্লেসে বা জনমানসে নমাজ পড়া নিষিদ্ধ করার পরেও, এইরকম ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এই কারণেই তাঁরা স্মারকলিপি পেশ করেছেন। যাতে অনুরোধ করা হয়েছে যে, যারা রেলওয়ে স্টেশনে নমাজ পড়বে তাদের আইনি জটিলতার মুখোমুখি হতে হবে।
হিন্দু মহাসভা আরো জানিয়েছে, তারা কেবল চারবাগ নয়, দেশের সমস্ত রেলস্টেশনের ভিতরে প্রার্থনার বিরোধিতা করবে। শিশির চতুর্বেদীর বক্তব্য, ইদানিংকালে রেলওয়ে স্টেশনগুলির মধ্যে একটি সমাধি তৈরি করা বা নমাজ পড়ার সমস্যা গুরুতর বিষয়ে হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি লখনউয়ের একটি মলের ভিতর কয়জন লোক নমাজ পড়ার পরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ১৫ জুলাই অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা, ওই মলের ভিতর নমাজ পাঠের তীব্র নিন্দা করেছেন। পরবর্তীতে তারা ওই মলে গিয়ে হনুমান চালিশা পাঠ করেন। যার পর নমাজ পাঠের অভিযোগে কয়েক জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ, ২৯৫এ ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়। এদিন রেল স্টেশনে নমাজ পড়ার ভিডিও ভাইরাল হতেই পুলিশের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয় অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা।
হিজাবের পর নামাজ বিতর্ক শুরু হয়েছে দেশে। মুসলিম সমাজের ধর্মীয় আচার বা রীতিনীতি পালনে হিন্দু সংগঠন গুলি বাঁধা সৃষ্টি করছে। মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে মুসলিম ধর্মের উপর নানা রকম বিধিনিষেধ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সরকারি মদতে।